এ ধরণের বাড়ি একমাত্র দেখতে পাবেন মুন্সিগঞ্জে তবে এই জেলার বাইরে এরমক ঘর দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই ইদানীং এখানকার কারিগরদের অর্ডার দিয়ে দোচালা চারচালা ঘর নিজ এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন অনেক জেলার মানুষ
মুন্সিগঞ্জ জেলার একটা অংশ প্রতিবছরেই সর্বনাশা পদ্মা নদীর কারণে বন্যার কবলে পড়তো। এছাড়াও নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যেতো মানুষের বসত বাড়ি।মূলত সেখান থেকে উঠে এসেছে কাঠের বাড়ি তৈরির প্রচলন। এই বাড়ি গুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে খুব সহজেই জোড়ায় জোড়ায় খুলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়।ফলে নদী ভাঙ্গন বা বন্যার পানি ওঠা শুরু করলে খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানো যায় বাড়িগুলো।মাটি, খড়,বাঁশ, বিভিন্ন জাতের কাঠ, প্লেনশিট ইত্যাদি দিয়ে তৈরি কারুকাজ মিশ্রিত এই বাড়িগুলো যেনো রুচিশীলতারই প্রকাশ ঘটায়।
ঘরের নকশা, নির্মাণকৌশল, নির্মাণ উপকরণ ও সৌন্দর্য অনন্য অসাধারণ। হুমায়ুন আজাদের কবিতায় ও লেখায় রাঢ়ীখালের দোতলা টিনের এ অসাধারণ ঘরের বর্ণনা পাওয়া যায়। কাঠের বাড়িতে থাকা জাপানিজদের পুরোনো ঐতিহ্য। মূলত ভূমিকম্প ও সুনামির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইট–কংক্রিটের পরিবর্তে কাঠের ঘর পছন্দ করে তারা। একইভাবে মুন্সিগঞ্জের মানুষ নদীভাঙনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহজে সরিয়ে নেওয়া যায়, এমন কাঠের ঘর তৈরি করে।
ঐতিহ্যবাহী এসব ঘরবাড়ি বেচাকেনার জন্য হাট বসে। অন্যান্য পণ্যের মতো ঘর বিক্রি হয়। দাম পরিশোধের পর ক্রেতার জায়গায় ঘর বসিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে বন্যা বা নদী ভাঙনের কারণে নয়; পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রেখে এখনও অনেকেই মোট অংকের টাকা খরচ করে নান্দনিক দোচালা চারচালা ঘর তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন
